ইন্টরেয়ির ডজিাইন কি?
সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের কাজের ক্ষেত্রও বাড়ছে। নিত্য নতুন এসব কর্মক্ষেত্রে নিজেদের যুক্ত করে অনেকেই সফলভাবে তাদের আধুনিক ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন। আমাদের দেশে তেমনি একটি সফলতর কর্মক্ষেত্র হচ্ছে ইন্টেরিয়র ডিজাইন।
Interior শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ Intro থেকে - যার অর্থ ভিতর, এর সাথে যুক্ত হয়েছে Design শব্দটি - যার অর্থ নকশা । এ দুটি শব্দ একত্রিত করলে হয় Interior Design। যার আভিধানিক অর্থ দাঁড়ায় অভ্যন্তরীণ নকশা বা অন্দর সজ্জা। তবে সাধারণত ইন্টেরিয়র ডিজাইন বলতে ঘর গোছানোকে বুঝে থাকি আমরা, বাস্তবে শুধু ঘর গোছানো নয় ইন্টেরিয়র ডিজাইন আরো ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। খেয়াল করলে দেখা যাবে প্রতিটি ঘরের গৃহিণীতো বটেই অন্যান্য সদস্যরাও বাড়ির সাজসজ্জায় বেশ পারদর্শী এবং আগ্রহী। বাড়ি কি রঙ করবেন, বেডরুম কতটুকু স্পেসে হবে, কোথায় কোন আসবাব রাখবেন, ডাইনিংটা কেমন হবে, রান্নাঘরে কোন কেবিনেট লাগাবেন, মোটকথা ঘর 'ডেকোরেশনের' এমন চিন্তা-ভাবনায় খুব উৎসাহী হয়ে বাজার থেকে পছন্দ মতন জিনিস কিনে সাজিয়ে ফেলেন। এই সাজানোকে 'ডেকোরেশনই' বলা যায়। কারন এই কাজে কোন বিজ্ঞান সম্মত ও প্রকৌশলগত নিজস্ব সৃজনশীলতা নেই। আসলে অনেকেই কিন্তু ভাবেন বাসা বা অফিস যেমন আছে, তন্মধ্যে সোফা-কার্পেট বা আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র সুন্দর করে গুছিয়ে রাখার নামই হয়তো ইন্টেরিয়র ডিজাইন। বিষয়টি কিন্তু মোটেও তেমন নয়। কেন না ইন্টেরিয়র ডিজাইনটা হল হলিস্টিক ব্যাপার। এক কথায় দরজাটা কেমন হবে, কোথায় বা কোন টাইপের আল্পনা বা নকশা করলে সুন্দর লাগবে, জানালাটা কোন পাশে বা কিভাবে থাকলে আলো বা রুমের কালারটি ফুটে উঠবে। ঘরটা হবে দখিনা দুয়ারি। জানালার ফাক দিয়ে মিষ্টি নরম রোদ আলতো করে ছুঁয়ে যাওয়া কিংবা বারান্দায় এক চিলতে বসন্তের খোলা হাওয়ায় মন জুড়িয়ে যাওয়া, এমন কিছু পারিপার্শ্বিক পরিবেশের কল্পনা সবার মনে উকি দিয়ে যায়। সেই সব কল্পনা থেকে প্রতিটি স্থানকে কাজে লাগিয়ে আসবাব-পত্র, লাইট, গৃহসজ্জা সামগ্রীর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে বাড়ি, অফিস বা যে কোনো প্রতিষ্ঠানকে আরামদায়ক ও নান্দনিক ভাবে উপস্থাপন করাই ইন্টেরিয়র ডিজাইনের প্রধান লক্ষ্য ।
আর যিনি এ কাজ দক্ষতার সাথে করে থাকেন তিনি ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ।
ইন্টরেয়ির ডজিাইনাররে কাজ
মানুষ একদকিে যমেন চায় নজিকেে সুন্দর দখেত,ে অন্যদকিে চায় তার আবাসস্থল এবং ভতেররে সাজসজ্জা, অফসি-আদালত, হাসপাতাল, বদ্যিালয় থকেে শুরু করে সব কছিুর সৗের্ন্দয বৃদ্ধি করত।ে আর এ কাজটাই করতে হয় একজন ইন্টরেয়ির ডজিাইনারক।ে আপনি যে ঘরে বসবাস করছনে সে ঘররে দয়োল, মঝে,ে দরজা, জানালা, আসবাব এমনকি র্পদাটাই বা কমেন হবে সে হসিাবটা ও করবনে ইন্টরেয়ির ডজিাইনার। এক কথায় বলা চল,ে ঘররে দয়োলরে রঙ, মানানসই আসবাবপত্ররে ডজিাইন ও স্বল্প পরসিররে জায়গাকে কীভাবে র্সবোচ্চ ব্যবহার করা যায়, সে বষিয়ে যাবতীয় ডজিাইন প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন করাটাই ইন্টরেয়ির ডজিাইনাররে কাজ।
ইন্টরেয়ির ডজিাইন এর র্বতমান চাহিধা :
বাংলাদশে উন্নয়নশীল দশে এবং যথষ্টে ঘনবসতপর্িূণ । দশেে জায়গার সংকট র্সবত্র সব যায়গায় । উন্নয়নশীল হওয়াতে উন্নয়নরে ছোঁয়া লাগছে প্রায় সব সক্টেরইে। তাই সবার চন্তিা থাকে অন্য সবার চাইতে আমার অফসি কংিবা বাসাটা একটু ভন্নি, যুগোপযোগী। এছাড়াও বাংলাদশে ঘনবসতপর্িূণ হওয়ায় স্বল্প পরমিান জায়গাকে র্সবোচ্চ ব্যবহার উপযোগী করাই সবার মূল লক্ষ থাকে । এরই ধারাবাহকিতায় ইন্টরেয়ির ডজিাইনরে চাহদিা প্রতনিয়িত বৃদ্ধি পাচ্ছে । কারণ ইন্টরেয়ির ডজিাইনাররাই বলে দনে কভিাবে একটি ছোট্ট এর্পাটমন্টে বা অফসিকে দৃষ্টনিন্দন করার পাশাপাশি এর প্রতটিি স্থানকে সঠকি ও সফল ভাবে ব্যবহার উপযোগী করা যায়। র্বতমানে রয়িলে এস্টটে শল্পিরে বকিাশরে মাধ্যমইে দশেে গড়ে উঠছে হাজার হাজার এর্পাটমন্টে, কর্মাশয়িাল বল্ডিংি দোকান/শো-রুম ইত্যাদি । একটি নতুন ভবন যখন তরৈি হয়, সইে ভবনে অফসি কংিবা বাসা যাই হোক না কনে তার সৌর্ন্দয বৃদ্ধি করতে একজন ইন্টরেয়ির ডজিাইনাররে সাহায্য ছাড়া তা অনকেটাই অসম্ভব । আর এ ব্যাপারটি বুঝতে পরেে প্রায় সব রয়িলে এস্টটে প্রতষ্ঠিানই ইন্টরেয়ির ডজিাইনার নয়িোগ অথবা স্বতন্ত্র কোনো ইন্টরেয়ির ডজিাইন কোম্পানকিে চুক্ততিে কাজরে দায়ত্বি দচ্ছি।ে ফলে র্বতমানে আমাদরে দশেে ইন্টরেয়ির ডজিাইনারদরে চাহদিা তরৈি হয়ছেে এবং দনি দনি এই চাহদিা বাড়ছ।েতাই বড়েে চলছেে ইন্টরেয়ির ডজিাইনরে গুরুত্ব এবং পাশাপাশি ইন্টরেয়ির ডজিাইনারদরে চাহদিা ।
ভাবছনে আপনার জন্য ইন্টরেয়ির ডজিাইন উপযোগী কি না ?
আধুনকি স্থাপনার অভ্যন্তরীণ সৌর্ন্দয র্বধনে প্রধান ভূমকিা রাখছনে ইন্টরেয়ির ডজিাইনাররা। ইন্টরেয়ির ডজিাইনার হওয়ার প্রথম ও প্রধান র্শত হলো সৃষ্টশিীল চন্তিাভাবনা করার মানসকিতা থাকতে হব।ে সইে সঙ্গে থাকতে হবে সূক্ষ্ম পরকিল্পনা করার মানসকিতা। একজন সত্যকিাররে পশোদার ইন্টরেয়ির ডজিাইনারকে পারপর্িাশ্বকি পরবিশে, সবার বাসযোগ্য স্থান, অফসি-আদালতরে সুপরসির র্কমস্থান, খলোর ময়দান ইত্যাদি স্থানকে নজিরে চন্তিা-কল্পনা, গবষেণা, সৃজনশীলতা ও আপন মনরে মাধুরী মশিয়িে আরও আর্কষণীয় ভাবে ফুটয়িে তুলতে দৃঢ় প্রতজ্ঞি হতে হব।ে কাজরে ফাঁকে বা যে কোনো অবসরে নত্যি নতুন রুচশিীল, আর্কষণীয় ডজিাইন উদ্ভাবনে একজন ইন্টরেয়ির ডজিাইনার সদা নমিগ্ন থাকনে। ইন্টরেয়ির ডজিাইনার হসিবেে কাজ করতে গলেে শুধু কাঙ্ক্ষতি ডজিাইন এঁকে দওেয়াটাই যথষ্টে নয়, বরং একজন ডজিাইনারকে তার নজিস্ব ডজিাইন ও প্ল্যানংি ছাড়াও এ কাজে জড়তি কাঠমস্ত্রি,ি রঙমস্ত্রি,ি ইলকেট্রশিয়িান সবার কাজ ভালোভাবে দখোশোনা করতে হয় শুরু থকেে শষে র্পযন্ত। একজন উঁচু মানরে ইন্টরেয়ির ডজিাইনার তার নজিস্ব স্বপ্ন, কল্পনা, অনুভূতি দয়িে একটি মলনি, নষ্প্রিাণ স্থানকওে করে তুলতে পারনে সজীব, প্রাণবন্ত, প্রশান্তমিয় ও অর্পূব সুন্দর।
ইন্টরেয়ির ডজিাইন র্কোস সমূহ
সময়রে সাথে সাথে আমাদরে রুচরিও পরর্বিতন হয়ছে।ে অফসি কংিবা বাসা সবখানইে এখন রুচশিীল মানুষ তাদরে নান্দনকিতার ছােঁয়া রাখছনে। দৃষ্টনিন্দন করে সাজাচ্ছনে নজিদেরে ঘররে প্রতটিি স্থান। গৃহস্থালি নতুবা অফসি যাই হোক না কনে, পরপিাটি করে সাজাতে কে না চায়? ঘর সাজানোর এই কাজটি সহজ করে দয়ে একজন দক্ষ ইন্টরেয়ির ডজিাইনার। তঁিনি তার শল্পৈকি মনরে ছােঁয়াতে সাজয়িে তোলনে চমৎকার এক চারদয়োল। শল্পিীর হাতরে ছােঁয়ায় একটি সাধারণ ঘরও হয়ে উঠে অসাধারণ। এই সমস্ত নান্দনকিতার ছােঁয়ায় খুব সহজইে কভিাবে নজিরে ঘরটি দৃষ্টনিন্দন করে সাজাতে হবে ইন্টরেয়ির ডজিাইনরে সইে চারদয়োলরে কাব্য শখিতে পারবনে বাংলাদশে ইনস্টটিউিট অব ফ্যাশন এন্ড ডজিাইন টকেনোলজি (ব,িআই,এফ,ড,িট)ি থকে।ে ইন্টরেয়ির ডজিাইনে রয়ছেে ছয় মাস ও এক বছর ময়োদি ডপ্লিোমা র্কোস। যারা এ কাজরে সাথে কছিুটা অভ্যস্ত তারা আরো জানতে ছয় মাস ময়োদি র্কোস করতে পারনে আর যারা একদম নতুন তাদরে জন্য এক বছর ময়োদি র্কোস ফলপ্রসূ হব।ে বভিন্নি ধরণরে শক্ষর্িাথীদরে কথা চন্তিা করে ২ ধরণরে ময়োদরে র্কোস বভিন্নি শফিটে করানোর ব্যবস্থা রয়ছে।ে যার ফলে আপনি আপনার সুবধিা অনুযায়ী যে কোন শফিটে ক্লাস করতে পারবনে। তবে যে কউে যে কোন র্কোস করতে পারবনে। এস.এস.স,ি এইচ.এস.স,ি ববিএি, এমবএি, অর্নাস কংিবা গ্রাজুয়শেন করার পাশাপাশি ইন্টরেয়ির ডজিাইনরে উপর র্শট বা লং র্কোস করে র্বতমানে ইন্টরেয়ির ডজিাইনার হসিবেে ক্যারয়িার গড়তে পারনে যে কউে। সইে সাথে প্রতষ্ঠিা করতে পারনে স্বতন্ত্র র্কমসংস্থান। শুধু বাংলাদশেইে নয় ইন্টরেয়ির ডজিাইনাররে চাহদিা এখন বশ্বিব্যাপী।
কাজরে সুযোগ
অন্য পশোর পাশাপাশি প্রশক্ষিণ নয়িে এটকিে র্পূণ পশো হসিবেে গ্রহণ করা যায়। চাকররি ক্ষত্রেে প্রশক্ষিতি ডজিাইনারদরে চাহদিা বাড়ার কারণে তরুণ প্রজন্মরে মধ্যে এ পশোর প্রতি আগ্রহ বড়েছে।ে আমাদরে দশেে এ মাধ্যমরে কাজরে ক্ষত্রে ক্রমইে বাড়ছ।ে তাই র্সাথকভাবে ইন্টরেয়ির ডজিাইন র্কোসটি শষে করার পর সহজে চাকরি পাওয়া যায়। র্বতমানে দশেে অনকে ইন্টরেয়ির ডজিাইন র্ফাম প্রতষ্ঠিতি হয়ছেে যারা অত্যন্ত সফলতার সাথে ইন্টরেয়ির ডজিাইনংি কাজ করে প্রতষ্ঠিা পয়েছে।ে ফলে এসব প্রতষ্ঠিানে অনকে চাকুররি সুযোগও বড়েছে।ে এর পাশাপাশি ইন্টরেয়ির ডজিাইন শখোর পর ফ্রল্যিান্সার হসিবেে কাজ করারও সুযোগ রয়ছে।ে তবে ফ্রল্যিান্সার হসিবেে কাজ করার জন্য সৃজনশীলতার পাশাপাশি চাই চ্যালঞ্জে মোকাবলো করার মানসকিতা। র্বতমানে আমাদরে দশেরে তরুণরা এ ক্ষত্রেটতিে নজিদেরে যুক্ত করে গড়ে তুলছে অন্যতম একটি সম্ভাবনাময় ক্যারয়িার। বভিন্নি র্আকটিকেচারাল কোম্পান,ি রয়িলে এস্টটে কোম্পান,ি ইভন্টে ম্যানজেমন্টে র্ফাম, ইন্টরেয়ির ডজিাইন র্ফাম, পইেন্ট কোম্পানসিহ বভিন্নি ক্ষত্রেে ইন্টরেয়ির ডজিাইনারদরে রয়ছেে ব্যাপক চাহদিা ।
আয়রে সুযোগ
ইন্টরেয়ির ডজিাইনার হসিবেে কোনো র্ফামে চাকরি করলে প্রারম্ভকি অবস্থায় মাসে ১৫ থকেে ৩০ হাজার টাকা র্পযন্ত বতেন পাওয়া যতেে পার।ে অভজ্ঞিরা আরও বশেি পতেে পারনে। আর নজিরে র্ফাম হলে আয় নর্ভির করে কাজরে সংখ্যা ও পরমিাণরে উপর। তবে খুব অল্প পুঁজতিে শুরু করওে আপনি প্রথম দকিইে প্রতি মাসে আয় করতে পারনে ৫০ থকেে ৬০ হাজার টাকা। চাইলে এটকিে খণ্ডকালীন পশো হসিবেওে নতিে পারনে। রয়ছেে চুক্তভিত্তিকি কাজরেও সুযোগ। চুক্তভিত্তিকি কাজে আয়রে সুযোগ কছিুটা বশে।ি নজিস্ব র্ফাম অফসি না নয়িে অল্প পুঁজতিে আপনি নজিইে শুরু করতে পারনে ইন্টরেয়ির ডজিাইনাররে কাজ। তবে অফসি নয়িে কাজ শুরু করতে চাইলে স্থানভদেে বনিয়িোগ করতে হবে ১৫ থকেে ২০ লাখ টাকা। অফসি না নলিে লক্ষ খানকে টাকা বনিয়িোগ করলইে চলব।ে সে ক্ষত্রেে প্রথমইে বড় কাজ না ধরে ছোট ছোট কাজ দয়িে শুরু করতে পারনে। এতে চাপ থাকবে কম, বনিয়িোগও করতে হবে না বশে।ি আপনি নজিে কম্পউিটার গ্রাফক্সিরে কাজ জানলে ভালো, তা না হলে এ রকম একজন দক্ষ র্কমীর দরকার পড়ব।ে ইন্টরেয়ির কাজে দক্ষ কাঠমস্ত্রি,ি রঙমস্ত্রিি ও ইলকেট্রশিয়িানদরে সঙ্গে পরচিয় থাকা জরুর।ি থাকতে হবে অধকি যোগাযোগ দক্ষতা ও মানুষকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতা। সইে সঙ্গে নজিরে চমৎকার বাচনভঙ্গি ও ব্যক্তত্বি থাকাটা তো অনবর্িায। ইন্টরেয়ির ডজিাইনে সৃজনশীল আনন্দ যমেন আছ,ে তমেনি আছে অজানা চ্যালঞ্জেকে জয় করার তৃপ্ত।ি তাই যারা গদবাঁধা চাকরি করতে চান না, এ পশো তাদরে জন্য হয়ে উঠতে পারে সৃজনশীল ও আনন্দদায়ক একটি র্কম। দনি দনি ইন্টরেয়ির ডজিাইনারদরে কাজরে ব্যাপ্তি আর সুযোগ-সুবধিা অনকে বড়েছে,ে তরৈি হয়ছেে নতুন নতুন অনকে র্ফাম। সৃজনশীলতা আর দক্ষতা কাজে লাগয়িে আগ্রহী যে কউে এ পশোয় গড়তে পারনে র্বণলি ক্যারয়িার।