আপনি জানেন কি? ফ্যাশন ডিজাইন এখন লাখ টাকার পেশা!
আজকের একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, যদি হয় আগামীর উদ্যোক্তা।
তাহলে আপনি কি অবাক হবেন ?
✔️এতে কিন্তু মোটিও অবাক হওয়ার কিছু নেই।
✔️কারন ফ্যাশন ডিজাইন এখন লাখ টাকার পেশা!
চাকুরি অথবা উদ্যোক্তা ২টি সম্ভাবনার দোয়ার এক জন ফ্যাশন ডিজাইনারের জন্য খোলা।
ফ্যাশন ডিজাইন সৃজনশীল পেশা হওয়ায় এর উপার্জন ক্ষমতা হয়, অন্য যে কোন পেশার চেয়ে অনেক বেশি। চাকুরিতেও রয়েছে সম্মানজনক বেতন এবং এ ছাড়াও হতে পারেন সৃজনশীল পেশায় একজন সফল ফ্যাশন উদ্যোক্তা।
আপনি জানেন কি ?
উদ্যোক্তা তিনি যিনি সম্ভাবনা সৃষ্টি করেন,
উদ্যোক্তা স্বপ্নকে সাফল্যে রূপান্তর করেন,
উদ্যোক্তা শুধু নিজের নয় হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেন,
এরই সফলতার ধারাবাহিকতায় আজকের দেশিয় পোশাক শিল্পের পথ চলা।
তাই আপনি যদি চাকুরি অথবা নতুন কোন ব্যবসা শুরু করতে চান বা খুঁজতে থাকেন একটি ভালো উপার্জনের সেইফ ক্যারিয়ার,
তাহলে সৃজনশীল পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার হয়ে নিজেকে মেলে ধরার সময় এখনি ....
ফ্যাশন ডিজাইনিং কি?
এক এক দেশের মানুষের শারীরিক গঠন ও পোশাক এক এক রকম। এ কথা মাথায় রেখে স্থান, কাল, পাত্র, জলবায়ু, আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে সময়ের চাহিদাকে মাথায় রেখে বিভিন্ন শ্রেনির ক্রেতাগোষ্ঠীর সাধ এবং সাধ্যকে সমন্বয় করে ডিজাইন ও রঙের অপূর্ব সমন্বয়ে যারা আপনার পছন্দের পোশাকটি তৈরির পূর্বে নকশা বা রূপ রেখা তৈরি করে থাকেন, তারাই ফ্যাশন ডিজাইনার।
এইচএসসি, বিবিএ, এমবিএ, অনার্স কিংবা গ্রাজুয়েশন করার পাশাপাশি কর্মমূখী ও সৃজনশীল কিছু করতে চান ?
তৈরী করতে চান রুচিশীল কিছু ?
যা কিনা নজর কাঁড়ে সকলের,
এমনসব ধারণা থেকে পুরাতন কে ভেঙ্গে নতুন রূপে সাজিয়ে জায়গা করে দিতে চান মানুষের মনে,
তাহলে অপনার এই কর্মমূখী, রুচিশীল ও সৃজনশীল ধারণা গুলোকে কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন ফ্যাশন ডিজাইনে।
কর্মমুখি শিক্ষায় ফ্যাশন ডিজাইন ক্যারিয়ারঃ
সময়ের সাথে সাথে ফ্যাশন ডিজাইন পরিণত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ হিসেবে।
আধুনিকতার এ যুগে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেছে অনেক কিছু এবং মানুষের কর্মক্ষেত্রে এসেছে পরিবর্তন।
সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন উন্নয়নমুখী সৃষ্টিশীল পেশা।
ঠিক তেমনি একটি যুগোপযোগী পেশা ফ্যাশন ডিজাইন।
কিছু দিন আগেও ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে মানুষের তেমন ধারণা ছিলনা। এখন আর সেই সময় নেই। মানুষ এখন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন। সবাই চান নতুন কিছু, চান আধুনিকতার বৈচিত্র্যময় জীবন।
এই বৈচিত্র্যের পূর্ণতা এনে দিয়েছে ফ্যাশন ডিজাইনিং কোর্স। তাই বর্তমান সময়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে পোশাক সম্পর্কে যেমন রয়েছে সচেতনতা, তেমনি ফ্যাশন ডিজাইনে পড়াশুনার প্রতিও বাড়ছে আগ্রহ।
ফ্যাশন ডিজাইন কোর্স সমূহঃ
পোশাক শিল্পের পরিধি বিস্তৃতির কারণে অন্য যে কোন পেশার চেয়ে এ পেশায় চাকরি পাওয়া বেশ সহজ।
বর্তমানে পোশাক শিল্প এবং বায়িং হাউসে দক্ষ লোক নিয়োগ করা হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরূপ পেশাদারদের উচ্চবেতনে কর্মসংস্থানের সুবিধা রয়েছে।
ফ্যাশন ডিজাইনে রয়েছে ৬ মাস মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্স ও ১ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স।
যারা এ কাজের সাথে অভ্যস্ত তারা আরো জানতে ৬ মাস মেয়াদি কোর্স করতে পারেন আর যারা একদম নতুন তাদের জন্য ১ বছর মেয়াদি কোর্স ফলপ্রসূ হবে।
এই সুবিধা পাবেন বাংলাদেশ ইন্সিটিউট অব ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন টেকনোলজি (বি,আই,এফ,ডি,টি) থেকে।
যেখানে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ২ ধরনের মেয়াদের কোর্সে, বিভিন্ন শিফটে ক্লাস করার ব্যবস্থা রয়েছে। যার ফলে আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী যে কোন শিফটে ক্লাস করতে পারবেন। তবে যে কেউ যে কোন কোর্স করতে পারবে।
এস.এস.সি, বা এইচ.এস.সি পাসের পর যে কোন বয়সের শিক্ষার্থীরা এসব কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। তবে ডিগ্রি ধারীদের অগ্রাধিকার বেশি।
ফ্যাশন ডিজাইনে কাজের ক্ষেত্রঃ
পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে অনেক দিন থেকেই।
ফ্যাশন ডিজাইন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির অনেক সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত অসংখ্য দেশী-বিদেশী টেক্সটাইল মিল, দেশজুড়ে হাজার হাজার গার্মেন্টস, বায়িং হাউজ, ফ্যাশন হাউস আর বুটিক হাউস গড়ে উঠার ফলে এসব খাতে দক্ষ জনবল তৈরিতে ফ্যাশন ডিজাইন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে রয়েছে চাকরির বিশাল বাজার।
এ ছাড়া রয়েছে ফ্যাশন ডিজাইন এক্সিকিউটিভ কনসালটেন্ট, প্রোডাক্ট ডেভলাপার, এক্সপোর্টার-ইম্পোর্টার হিসেবে কাজের সুযোগ।
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এই সেক্টরের রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যত। আবার দেশের বাইরে ও ফ্যাশন ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে।
চাকুরির বেতনঃ
✔️সরকারি-বেসরকারি বা দেশী-বিদেশী টেক্সটাইল মিল,
✔️বায়িং অফিস, বুটিক হাউস, ফ্যাশন হাউস, গার্মেন্টস ও পোশাক শিল্পের যে কোন পদ।
পোশাক শিল্পে একজন ফ্যাশন ডিজাইনার চাকুরি করতে গিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় দক্ষতা অনুযায়ী ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন পাওয়া সম্ভব।
কাজের দক্ষতা আর অভিজ্ঞতার উপর দ্রুত বাড়তে থাকে বেতন।
অনেক ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যেই ৭০ থেকে ৯৫ হাজার টাকা বেতন হয়ে যায়। সাথে বাড়ে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। (কথা গুলোর সত্যতা যাচাই করুন তাদের কাছ থেকে, যারা বর্তমানে পোশাক শিল্পে কাজ করছে )
ভাবছেন আপনার জন্য ফ্যাশন ডিজাইনিং উপযোগী কি না ?
যে কাজই করেন ভালবেসে করেন,
✔️ভেবে দেখেনতো ডিজাইনিং আপনার কেমন লাগে ?
✔️রঙ, তুলি আর সেলাই মেশিনের প্রতি আগ্রহ কেমন আছে?
✔️মার্কেটে কোন পোশাক দেখলে কি মনে হয় কালারটা অন্য রকম হলে ভালো হতো।
✔️কখনও কি মনের ঝোকে করে ফেলেছেন টি-শার্ট এর ডিজাইন।
উপরের কিছু না থাক আছে কি অদম্য ইচ্ছা?
আর এগুলো যদি থাকে আপনার ভিতর, কে জানে আজ থেকে ৫ বছর পরে, আপনারই ডিজাইন করা পোশাক বিক্রি হবে কোন বিখ্যাত ব্রান্ড সপে। আর আপনিও হতে পারেন সেই বিখ্যাত ব্রান্ডের এক জন সফল উদ্যোক্তা।
“ভবিষ্যৎ তাদের হাতে, যারা তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিনত করে”
যোগ্যতাঃ
যোগ্যতা হতে পারে দুই ধরনের -
প্রকৃতি প্রদত্ত দক্ষতা - রঙ, নকশা আর এই দুইয়ের সৃজনশীলতা নিয়ে যারা বেড়ে উঠে,ফ্যাশন ডিজাইনিং তাদের জন্য অনেক খানি সহজ হয়ে যায়।অর্জিত দক্ষতা - ফ্যাশন ইনস্টিটিউট (বি,আই,এফ,ডি,টি) থেকে কোর্স করে দক্ষতা অর্জন করা যায় এই পেশায়। তবে দক্ষতা যেভাবেই হোক প্রাকৃতিক অথবা অর্জিত, পেশাদারী মনোভাব, ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা আর কঠোর পরিশ্রমই দিতে পারে কাঙিক্ষত সাফল্য।
যে বিষয়গুলোর প্রতি সচেতন থাকতে হবেঃ
গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড, মিডিয়া জগত, ফ্যাশান শো, তারকা খ্যাতি অথবা রাতারাতি কোটি টাকার মালিক হওয়ার লোভে ভুলেও আসা উচিত নয় এই পথে। ফ্যাশন ডিজাইন এক ধরনের সৌখিন শিল্প যেখানে নতুনত্বের বৈচিত্র্য নিজের ব্যক্তিত্ব বহিঃ প্রকাশ করা যায় তাই বই মুখস্ত করে ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়া সম্ভব নয়।
সিদ্ধান্ত নিন দ্রুতঃ
বিশ্বে যখন ফ্যাশন নিয়ে তোলপাড় তখন পিছিয়ে নেই আমরাও। পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের সাফল্য আর নিত্য নতুন দেশীয় বায়িং হাউজ ও ফ্যাশন হাউজ এর কারনে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এই পেশা। তরুণদের মধ্যে ফ্যাশন ডিজাইনিং পড়া এখন শুধু আর শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বাংলাদেশে অন্যান্য চাকুরির ক্ষেত্রে যেখানে একটি পদের বিপরীতে অসংখ্য তরুণ-তরুণী সীমাহীন প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত তখন চাহিদার তুলনায় ফ্যাশন ডিজাইনের দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় ফ্যাশন ডিজাইনের একজন শিক্ষার্থী একাধিক প্রতিষ্ঠানের চাকুরির আমন্ত্রণের মধ্য থেকে নিজের পছন্দ মত চাকুরি নিজেই নির্বাচন করতে পারে। তাই যদি উক্ত শিল্পে চাকুরি অথবা ব্যবসায়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়তে চান তবে (বি,আই,এফ,ডি,টি)-এর ফ্যাশন ডিজাইন কোর্সটি করুন। যেখানে রয়েছে আপনার সাধ্যের ভিতর ফ্যাশন ডিজাইনের একাধিক মেয়াদের কোর্স। সৃজনশীল এ পেশার মাধ্যমে আপনিও হয়ে উঠুন একজন কর্মময় ও সফল মানুষ।