ক্যারিয়ার গড়ুন গ্রাফিক্স ডিজাইনিং-এ
আপনি আপনার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের জীবনকে সাজিয়ে তুলতে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিতে পারেন অফুরান সম্ভাবনাময় পেশা গ্রাফিক্স ডিজাইন। আত্মবিশ্বাস ও নান্দনিক শিল্পবোধ সমৃদ্ধ যে কেউ এ পেশার মাধ্যমে নিজেকে সাফল্যের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে পারেন। দিন দিন গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদাও বাড়ছে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?
গ্রাফিক্স ডিজাইনকে বলা হয় আর্ট অব কমিউনিকেশন।
লোগো, ব্রান্ডিং, পাবলিকেশন, ম্যাগাজিন, পত্রিকা, টিভি চ্যানেল, বই, থেকে শুরু করে পোস্টার, বিলবোর্ড, সাইন বোর্ড, ওয়েব সাইট গ্রাফিক্স, কোন পণ্যকে সুদৃশ্য মোড়কে প্যাকেজিং করা, কিংবা আমাদের পরিধেয় আধুনিক ডিজাইনের পোশাক তৈরি পর্যন্ত কোথায় নেই এই গ্রাফিক্সের ব্যবহার, অর্থাৎ এমন কোন চাকুরি ক্ষেত্র নেই যেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়টা লাগে না। গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি বিষয় যার মাধ্যমে আপনি আপনার মনের ভাব কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য ও কালারের সমন্বয়ে আর্ট ও টেকনোলজির সাহায্যে উপস্থাপন করতে পারবেন। এক কথায় চিত্রলেখ বিষয়ক শিল্প কর্মকেই গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়ে থাকে। সহজভাবে বলতে গেলে টেক্সট বা নকশা ব্যবহার করে সুন্দর এবং মানসম্মত চিত্র কর্ম তৈরি করাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়ে থাকে। আরও সহজভাবে বলতে গেলে বলতে হয় আপনি নিশ্চই সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের চিত্র দেখতে পান, বিভিন্ন কোম্পানির এডভার্টাইজ দেখতে পান। এই যে চিত্রগুলো আপনি দেখতে পান এই চিত্রগুলোকেই বলা হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। আগের যুগে যে চিত্রকর্ম গুলো শিল্পীরা হাতের অঙ্কনে
কাজের ক্ষেত্র ঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইনারের দায়িত্ব হলো তার কাজ, পণ্য বা সেবার ওভারঅল লুক ও ভাবমূর্তি ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা। কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছাড়া ডিজাইন করা যায় না। তাই একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও ক্রিয়েটিভিটি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের মানকে উন্নত করে। আর নিজেকে ভালোভাবে তৈরি করতে পারলে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের অভাব হয় না। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্র হিসেবে ইন্টারঅ্যাক্টিভ মিডিয়া, প্রমোশনাল ডিসপ্লে, জার্নাল, কর্পোরেট রিপোর্টস, মার্কেটিং ব্রশিউর, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, লোগো ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইনসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে এ ছাড়া ও এমন কোন চাকুরী ক্ষেত্র নাই যেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়টা লাগে না। লোকাল মার্কেট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেটাই বলি না কেন, প্রতিনিয়ত গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের পরিমাণ বাড়ছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, সম্প্রতি দেওয়া তথ্যমতে বর্তমানে প্রায় ৮০ শতাংশ গ্রাফিক্স ডিজাইনার আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ও চাহিদা ঃ
এস.এস.সি, এইচ.এস.সি, বিবিএ, এমবিএ, অনার্স কিংবা গ্রাজুয়েশন করার পাশাপাশি যে কোন বয়সের শিক্ষার্থীরা এসব কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। এখানে মূলত আপনার কাজের দক্ষতাই প্রধান বিষয়। আপনার ক্রিয়েটিভিটি আপনাকে সফলতার উচ্চশিখরে নিয়ে যেতে পারে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর শর্ট কোর্স করে বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন যে কেউ। সেই সাথে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন স্বতন্ত্র কর্মসংস্থান। শুধু বাংলাদেশেই নয় গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা এখন বিশ্বব্যাপী।
গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয় ঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইনার একটি সম্মানজনক পেশা। এ পেশায় বেতন নির্ভর করে দক্ষতার ওপর। প্রশ্ন আসতেই পারে, প্রতি মাসে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয় কত হতে পারে? এ সম্পর্কে ডিজাইনারদের বেতন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান “ডিজাইনার স্যালারিজ”-এর মতে, একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতি বছর গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ বা এ সম্পর্কিত চাকরি থেকে আয় করে ১ লাখ ডলার সেই হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০ লাখ টাকা আয় করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনে ৩ মাস মেয়াদের প্রফেশনাল কোর্স করে প্রারম্ভিক বেতন মাসে সাধারণত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পেতে পারেন। তবে যোগ্যতার ভিত্ততে তা কম বাশি হতে পারে। এ ছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনি একটি লোগো ডিজাইন করে ৫ ডলার থেকে শুরু করে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। তবে বেশি ক্রিয়েটিভ কাজ হলে এটি ৫ হাজার ডলার পর্যন্তও হতে পারে। এ ছাড়া একটি ওয়েবসাইটের ফাস্ট পেজ ডিজাইন করে ক্ষেত্রে বিশেষে ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৩ হাজার ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। মূলত কাজের মান ও ক্রিয়েটিভিটির ওপরই ভিত্তি করে আপনার আয় নির্ভর করবে। তবে যদি কাজে স্বকীয়তার প্রকাশ না থাকে তাহলে টিকে থাকাটাই কষ্টকর। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও আইডিয়া লেভেল ভালো না হলে তিনি হয়তো কাজ করতে পারবেন, তবে চ্যালেঞ্জে টিকে থাকতে পারবেন না।তাই প্রয়োজন হাতে কলমে শিক্ষা । কর্মমুখী শিক্ষায় স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন কোর্স করে আপনিও গড়তে পারেন স্বপ্নের ভবিষ্যত। অন্যের অধীনে চাকরি না করেও গড়ে তুলতে পারেন স্বতন্ত্র সেবাধর্মী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর এসব কর্মমুখী শিক্ষার মধ্যে বর্তমানে চাকরির বাজারে এগিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন। সুতরাং, স্বকীয়তা সম্পন্ন সৃজনশীল যে কেউ গড়তে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইনে নিশ্চিত ক্যারিয়ার।
ভাবছেন আপনার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন উপযোগী কি না ?
আঁকাজোঁকাতে ঝোঁক বেশি! ক্রিয়েটিভ কিছু করতে মন চায়? সময় পেলেই কম্পিউটারের পেইন্ট টুলস, ফটোশপ, ইলাসট্রেটর নিয়ে গাছ, পাখি, ফুল, ফল, বাড়ির দৃশ্য, কারোর নাম বা কোন ছবি নিয়ে কাজ শুরু করে দেন? পার্টটাইম বা ফুলটাইম কাজ খুজছেন? অথবা অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজ করে অপেক্ষাকৃত বেশি আয় করতে চান? তাহলে ভেবেচিন্তে নেমে পড়ুন অন্যান্য সব চাকরি থেকে নিরাপদ ও ঝামেলাবিহীন গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশায়। নিরাপদ ও ঝামেলাবিহীন বলার কারণ হলো অন্য সব পেশা অপেক্ষায় গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের কোন অভাব হয় না। এটা একটা সন্মানজনক পেশা। তাই আপনি যদি এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান তবে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন টেকনোলজি (বি,আই,এফ,ডি,টি,) -এর গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্সটি করুন।
ওয়েব ডিজাইন কি?
ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটের জন্য বাহ্যিক গঠন তৈরি করা। ওয়েব ডিজাইনারের মূল কাজ একটা সাইটের জন্য টেমপ্লেট (ওয়েবপেজ) বানানো, একটি ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে, এর ব্যাকগ্রাউন্ড এর রং কি হবে, ব্যাকগ্রাউন্ডে কোন ছবি থাকবে কিনা, থাকলে কি ছবি থাকবে, লেখা কত বড় হবে, কেমন স্টাইলের হবে, কি রঙের হবে, যদি সাইটে বিজ্ঞাপন থাকে তাহলে প্রতিবার পেজ লোড হওয়ার সময় বিজ্ঞাপনের পরিবর্তন হবে কি না? এ সমস্ত কার্য সমূহের সঠিক ও সুচারু সম্পাদনই ওয়েব এপ্লিকেশন। এসব তৈরী করতে হয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ দিয়ে। এ সমস্ত কাজের মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট দৃশ্যমান করাকে ওয়েব ডিজাইন বলে।
ওয়েব ডিজাইন কিভাবে করতে হয় ?
নির্দিষ্ট কিছু ভাষা ব্যবহার করে ওয়েব ডিজাইন করা হয়। এসব ভাষাকে কম্পিউটার এর ভাষা বা ওয়েবপেজ-এর ভাষাও বলতে পারেন। মানুষের যেমন নিজস্ব ভাষা আছে, সে তার ভাষা বোঝে। তেমনি ওয়েব পেজেরও আলাদা ভাষা আছে এবং সে সেই ভাষা বোঝে। ঐ ভাষায় তাকে যা বলা হবে সে তাই করবে। যদি বলা হয় তোমার রং পাল্টাও সে তা পাল্টে দেবে। আপনাকে ওয়েব ডিজাইন করতে হলে এসব ভাষা জানতে বা শিখতে হবে। আর এসব ভাষা কম্পিউটারে লিখে এক একটি ওয়েব পেজ তৈরি করা হয়। কয়েকটি ওয়েব পেজ নিয়েই একটি ওয়েবসাইট হয়। অনেক সময় মাত্র একটি পেজ নিয়েও একটি ওয়েবসাইট হতে পারে।
কেন শিখবেন ওয়েব ডিজাইন ?
আমাদের দেশে মূলত লোকজন কোন কাজটা আমি শিখবো বা আমি কোন কাজটা পারবো এধরনের প্রশ্ন না করে বরং বলে কিভাবে সহজে আয় করবো বা এটা শিখে কত টাকা আয় করবো। যারা আয় কত করবেন বা রাতারাতি কিভাবে আয় করবেন এইসব চিন্তা করেন তাদের জন্য ওয়েব ডিজাইন নয়। যদিও ওয়েব ডিজাইন আসলে উচ্চ আয়ের পেশার মধ্যে অন্যতম কিন্তু আপনি যদি আয়ের কথাটাই মাথায় রেখে আগাতে চান তাহলে আমরা বলব আপনার জন্য ওয়েব ডিজাইন নয়। ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন বা প্রোগ্রামিং এই ধরনের পেশা আসলে তাদের জন্য যারা ক্রিয়েটিভ কিছু করতে চান এবং নিজের কাজের মধ্যেই নিজেকে খুজে পেতে চান। ওয়েব ডিজাইন যেহেতু কোডিং এবং প্রোগ্রামিংয়ে ভরপুর আর প্রোগ্রামিং-এর নেশা ছাড়া প্রোগ্রামিং করা সম্ভব নয় তাই এধরনের কাজ শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা এই কাজের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে শিখতে শুরু করলে এটার প্রতি আর্কষণ পাওয়াটা স্বাভাবিক আর কর্মজীবন শুরু করার পর আপনি অন্য যেকোনো পেশা থেকে এখানেই ভালো আয় করতে পারবেন।
কি কি শিখতে হবে ওয়েব ডিজাইনে ?
যে কেউ নূন্যতম শিক্ষিত, যার কম্পিউটারের বেসিক নলেজটুকু আছে , আবার এমনটি নয় যে ইংলিশ অনেক ভালো জানতে হবে কিংবা অনেক সফটওয়্যার জানতে হবে। ওয়েব ডিজাইনে বিভিন্ন অবস্থার প্রেক্ষিতে মোটামোটি কয়েক ধরনের ল্যাঙ্গুয়েজ এবং স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে আবার শুরুতে ফটোশপ / ইলাসট্রেটর ব্যাবহার করে প্রথমে ওয়েবসাইটের গঠন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এদের মধ্যে বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার গুলো নিচে আলোচনা করা হল –
এইচটিএমএল (HTML): HTML একটি মার্কআপ ভাষা। ব্রাউজারে কোন একটা সাইটের ভিউয়ার যা দেখতে পায় তা এইচটিএমএল দিয়ে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এটি কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নয়, বরং যেকোনো প্রোগ্রামিং থেকে অনেক সহজ। এটা এতটাই সহজ যে যেকোন সাধারণ মানুষ যে প্রোগ্রামিং শিখতে চায় না, সেও হাসির ছলে HTML শিখে নিতে পারে। যেমন আমরা যদি কোন একটা প্যারাগ্রাফ প্রদর্শন করতে চাই তখন এমন লিখতে হয়।<p>This is a paragraph</p> অর্থাৎ ‘This is a paragraph’ এই টেক্সটি ব্রাউজার এ একটা প্যারাগ্রাফ হিসেবে প্রদর্শিত হবে।
সিএসএস (CSS): এটাও একটা মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ। এটি নির্ধারণ করে দেয় ব্রাউজারে যেই কন্টেন্ট HTML দ্বারা প্রদর্শিত হবে সেটা দেখতে কেমন হবে। অর্থাৎ লেখাটার ফন্ট কত বড় হবে। পাশে কতটুকু জায়গা খালি থাকবে। একটা লেখা থেকে আরেকটার দূরত্ব কতটুকু হবে, এটির রঙ কি হবে ব্যাকগ্রাউন্ড কি হবে, এমনকি সর্বশেষ CSS3 দিয়ে কন্টেন্ট-এ অ্যানিমেশনও যুক্ত করা যায়। যেমনঃ পূর্বে আমরা একটা HTML paragraph লিখেছিলাম। এখন আমরা চাইলে নিচের কোডটুকু দিয়ে সেই প্যারাগ্রাফের টেক্সট এর রঙ লাল করে দিতে পারি। p {color: red;}
পি এইচ পি (PHP) বা জাভাস্ক্রিপ্ট/জেকুয়েরি (Javascript/Jquery): এই দুটোকে মূলত প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের কিছুটা কাছাকাছি ধরা যায়। মূলত দু’টি জিনিসের কাজ একই তবে জেকুয়েরি হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্টেরই একটা রূপ যা সাইটে জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহারকে অনেকটাই সহজ করে। আর এগুলোর কাজ হচ্ছে সাইটটা ইন্টারেক্টিভ করা। অর্থাৎ ভিজিটর একটা বাটনে ক্লিক করলে মেনু ওপেন হবে, অথবা একটা ফর্ম সাবমিট করলে কনফার্মেশন মেসেজ দেখাবে ইত্যাদি।
মূলত কাজ শুরু করতে এই কয়েকটি ল্যাঙ্গুয়েজে দক্ষতা এবং বাস্তব কাজে ব্যবহার করার যোগ্যতা অর্জন করলেই হবে। তবে এই ধরনের কাজে অভিজ্ঞতা একটি চলমান প্রক্রিয়া। উত্তরোত্তর নতুন অনেক কিছু শিখে নিজেকে আরও প্রফেশনাল আরও যোগ্য ওয়েব ডিজাইনার করে তুলতে হবে।
ওয়েব ডিজাইনের সম্ভাবনাময় দিকগুলো ঃ
একজন ভালো ওয়েব ডিজাইনার এর চাহিদা অনেক। ওয়েব ডিজাইনার হয়ে কখনো চাকরির জন্য মাসের পর মাস বেকার বসে থাকতে হয় না। আসলে বসে থাকার প্রয়োজনও পরে না কারণ এটা আন্তর্জাতিক মানের একটি পেশা। অনলাইনে ফ্রিলান্সিং কিংবা অফসাইটে কন্ট্রাকচুয়াল কাজের অনেক সুযোগ এখানে আছে। বছর বছর প্রমোশন না থাকলেও, বেতন বৃদ্ধির হারটা অনেক উর্ধগতির। এই পেশায় অভিজ্ঞতা দিয়ে মূল্য বিচার করা হয়। যার যত বেশি কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তার যোগ্যতা ও পারিশ্রমিক তত বেশি হয়। ওয়েবসাইটের পরোক্ষ ব্যবহারে বাড়ছে পণ্য বিক্রয়ের পরিমাণ, সম্প্রসারিত হচ্ছে ব্যবসাক্ষেত্র। সেই সাথে তাল দিয়ে বাড়ছে ওয়েব ডিজাইনারের চাহিদাও। কাজেই ওয়েব ডিজাইনে আপনার আগ্রহ থাকলে এটাকেই আপনি নিজের পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। তাই আপনি যদি এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান তবে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন টেকনোলজি ( বি,আই,এফ,ডি,টি)-এর ওয়েব ডিজাইন কোর্সটি করুন।